মরুভূমিরও আছে নিজস্ব জীবনযাত্রা। আছে নিজস্ব ভাষা। মরুরাত্রির আছে একান্ত সংগোপন সংলাপ। আপাত নির্জনতায় বোঝা যায় না সে সব। আপাত নৈঃশব্দে যায় না শোনা। তার জন্য প্রয়োজন অনুশীলন ও অভিজ্ঞতা।

মরুভূমিকে বুঝতে হলে পর্যাপ্ত সময় দিতে হয় তাকে। ধীরে ধীরে তীক্ষ্ণ আর অভ্যস্ত হয়ে ওঠে সমস্ত ইন্দ্রিয়। তখনই কেবল শ্রাবণের অতীত সব শব্দ শোনা যায়, অন্তরালের রহস্য উন্মোচিত হয় দৃষ্টির সম্মুখে। সময়-অনুশীলন সাপেক্ষ মরুঅভিজ্ঞতা দেয় মানুষকে।

পৃথিবীর মরুভূমিগুলোকে জীবনের বেশ অনেকটা সময় দিয়েছে ইয়াসীন। প্রয়োজনের চেয়েও বেশি সময়। তাই মরুভূমির ভাষা সে বুঝতে পারে অনায়াসে। হয়তো এত স্পষ্ট ভাবে আর কোনও ভূমির ভাষাই বুঝবে না সে।

বাতাস এখানে স্বকীয় সঙ্গীতে প্রবাহিত। স্থানান্তরে পাল্টে যায় তার সুর। পাহাড়ে একরকম, খোলা প্রান্তরে আর একরকম, আবার যোশুয়ার ঝোপে তা সম্পূর্ণ আলাদা।

ছোটবড় প্রাণীগুলো নিঃশব্দে চলে ফেরে। তবু অভ্যস্ত কানে পৌঁছে যায় তাদের পায়ের আওয়াজ।

টুপ করে পাহাড়ের গা থেকে খসে পড়ে ক্ষুদ্র পাথরের টুকরো। বাতাসে ক্ষয়ে, রোদে পুড়ে হিমে ভিজে আনমনে খসে পড়ে পাথর খণ্ড। ক্ষণিক জল তরঙ্গের মত সামান্য গড়িয়ে থেমে যায় সে শব্দ। অথচ মানুষের পায়ের চাপে পাথর খসে পড়ার শব্দটা অন্যরকম। কর্কশ এবং জোরালো। অভ্যস্ত কান ঠিকই আলাদা ভাবে চিনে নেয় শব্দদুটো।

পাহাড়েরও আছে নিজস্ব কথা। তবে বড় অস্পষ্ট আর প্রলম্বিত সে স্বর। শতাব্দীর ওপার থেকে হয়তো ভেসে আসে এক একটা, ধস নামার মেঘল আওয়াজ। ভেসে আসে ফেটে যাবার, ক্ষয়ে যাবার কিংবা দ্বিখণ্ডিত হবার অনন্ত বিলম্বিত শব্দ।

সবচেয়ে বিস্ময়কর হলো মরুভূমির এই বেঁচে থাকা। কখনও মৃত নয় মরুভূমি। যুগযুগান্তরের অসীম প্রতীক্ষায় শুধু শুয়ে থাকে সে। তার সাথে প্রতীক্ষার পাল্লা দিয়ে চলে অন্তর্গত সবকিছু।

বীজ এখানে ভূমিষ্ঠ হয়েই অঙ্কুরিত হয় না। আকাশের প্রতীক্ষায় থাকে। আকাশ প্রতীক্ষায় থাকে মেঘের। মেঘ থাকে ক্রমশ বর্ষণসম্ভবা হবার জলজ প্রতীক্ষায়। অবশেষে হয়তো দু’এক পশলা বৃষ্টি নামে কোনও এক বিষণ্ণ বিকেলে।

তবু অঙ্কুরিত হয় না বীজ। আর একটা বর্ষণের অপেক্ষায় ঘুমিয়ে থাকে আরও কিছুকাল।

তারপর-অঙ্কুরিত হয়েই পত্রেপুষ্পে সুশোভিত বৃক্ষ হয়ে ওঠে না তা। পর্যাপ্ত সময় নেয়। কালোত্তীর্ণ প্রতীক্ষায় নিজস্ব নিয়ম গড়ে ওঠে তার। ধীরে ধীরে বেড়ে উঠে পরিপূর্ণ বৃক্ষের রূপ নেয়।

কিছু ক্যাকটাস আছে দেখতে ফানেলের মত। এই আকৃতির ফলে অতিরিক্ত রোদ লাগে না তাতে। কাঁটাগুলো ফিল্টার হয়ে শুষে নেয় বাড়তি তাপ। অধিকাংশ ক্যাকটাসের পাতায় মোমের মত একটা হালকা আস্তরণ থাকে। ফলে বাষ্পীভূত হয়ে বেরিয়ে যেতে পারে না ভিতরের পানি। মরুভূমিতে মানিয়ে নেবার প্রয়োজনে প্রত্যেকেরই এমন ধরনের কিছু বৈশিষ্ট্য অর্জন করতে হয়।

ইয়াসীনও তার ব্যতিক্রম নয়। মরুভূমিতে মানিয়ে নেবার জন্যে তাকেও বিশেষত্ব অর্জন করতে হয়েছে। নদীমাতৃক শ্যামল একটা দেশে জন্ম তার। অথচ দিনে দিনে মরুভূমির সাথে নিবিড় বন্ধনে জড়িয়ে গেছে সে। তাকে বুঝতে শিখেছে, ভালবাসতে শিখেছে। তার সাথে প্রতীক্ষায় একাত্ম হতে শিখেছে।

কয়েকটা পাথরের পাশে বসে আছে সে। একফালি চাদটার করুণ জ্যোৎস্নায় মিশে আছে পাথরের সাথে। কোন্টা পাথর আর কোনটা তার শরীর কেউই চিনতে পারবে না। বসে বসে মরুরাত্রির একান্ত সংলাপ শুনছে সে। মাথার উপর

অক্লান্ত ডানায় উড়ছে একটা নিশাচর বাদুড়। শিকার খুঁজছে নিঃশব্দে।

এরকম একটা রাতে অনেক ধরনের শব্দ ভেসে আসে। প্রতিটা শব্দ আলাদাভাবে চিনতে পারে ইয়াসীন। একসময় একটা অচেনা শব্দ শুনল সে। অস্পষ্ট শব্দটা মিলিয়ে গেল সাথে সাথে। বেশ কিছুক্ষণ পর আবার শোনা গেল। ওধরনের বিজাতীয় শব্দ মরুভূমির নিজস্ব হতে পারে না। সচল একটা আওয়াজ!

ঘোড়াটাও শুনতে পেয়েছে আওয়াজটা। কান দুটো খাড়া করে তাকিয়ে আছে দক্ষিণ পশ্চিম দিকে। ওদিক থেকেই আসছে আওয়াজ।

ঘোড়াটার লাগাম ধরে সেদিকে রওনা হলো ইয়াসীন। ঘোড়ায় চড়েনি সে। কারণ আকাশের পটভূমিতে অনেক দূর থেকে দেখা যেত তাকে। শত্রুর সহজ টার্গেটে পরিণত হত তার দেহ।

রাইফেলটা আটকানো আছে ঘোড়ার জিনে। কিন্তু এখন ওটার প্রয়োজন হবে। রাতের যুদ্ধ হয় শর্ট রেঞ্জে। সেজন্যে পিস্তলই বেশি উপযোগী। বাঁ হাত দিয়ে শার্টের দুটো বোতাম খুলে দিল ইয়াসীন। ডান হাতটা ভাজ হয়ে আছে সামান্য। নিমেষে কোমরের পিস্তল টেনে নিতে প্রস্তুত।

দেখেশুনে আলগা বালির উপর দিয়ে হাঁটিয়ে নিচ্ছে সে ঘোড়াটাকে। শব্দ এড়িয়ে যাচ্ছে।

প্রায় দুশো পা এগিয়ে থামল ইয়াসীন। শোনা যাচ্ছে না শব্দটা…আরও কিছুদূর এগোল…থামল। আবার শোনা যাচ্ছে আওয়াজ। আগের চেয়ে অনেক জোরাল।

চিনে ফেলল সে শব্দটা। একটা ওয়্যাগন আসছে। হয়তো স্টেজটা! বেলিন্দা আছে স্টেজে…অথবা ছিল! চাকার আওয়াজটা পরিচিত কিনা শুনতে চেষ্টা করল ও।

ওয়্যাগনের চাকার আওয়াজ একাধিক শর্তের উপর নির্ভরশীল। চাকার বেড় কত, বিয়ারিং-এ তেল দেয়া কিনা, কতখানি ভার টানছে সেটা, কিংবা কত দ্রুত ঘুরছে চাকা-এসবই ভাবতে হয়। এইমাত্র ঘর্ষণের মত একটা শব্দ এল। সম্ভবত শক্ত হাতে ব্রেক চেপেছে ড্রাইভার। অর্থাৎ কোনও ঢাল বেয়ে নামছে ওটা।

কিছুক্ষণের মধ্যে চাকার সাথে যোগ হলো ঘোড়ার ক্ষুরের আওয়াজ। এদিকেই আসছে ওয়্যাগনটা। এমন সময় একটা ঢাল বেয়ে উঠে আসতে দেখা গেল ঘোড়াগুলোকে।

অবস্থাটা বিপজ্জনক। স্টেজকে অনুসরণরত কোনও ইন্ডিয়ানের চোখে পড়ে যেতে পারে সে। কিংবা কোনও আরোহী আচমকা দেখে ফেলতে পারে তাকে। যে কোনও ক্ষেত্রে গুলিবিদ্ধ হবার সম্ভাবনা সমূহ। ঘোড়াটার নাকে বাম হাতের তালু ঠেকিয়ে নিশ্চল দাঁড়িয়ে রইল ইয়াসীন।

ঢাল বেয়ে উঠে এসেছে স্টেজ। ড্রাইভারের পাশে বসে আছে রাইফেলধারী একজন। ইয়াসীনকে ছাড়িয়ে আরও এগিয়ে গেল স্টেজটা। সামনে একটা চড়াই। ব্রেক চাপল ড্রাইভার। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে চায় হয়তো।

ঘোড়ার নাক থেকে হাত সরিয়ে নিল ও। সামান্য শিস বাজাল। সাথে সাথে চিঁহি ডাকল ঘোড়াটা।

ঝট করে তার দিকে ঘুরল রাইফেলধারী। ‘কে ওখানে?’ ওপাশ হতে জানতে চাইল ড্রাইভার।

ফৌজী টহল। পরিষ্কার উচ্চারণে জবাব দিল ইয়াসীন।

আস্তে আস্তে এখানে আসো তা হলে। হাত যেন খালি থাকে।

‘সীন নাকি!’ বেলিন্দার গলা শোনা গেল!

ঘোড়াটাকে নিয়ে এগোল ও। মনে হচ্ছে পথ হারিয়ে ফেলেছ তোমরা। কী ঘটেছিল? হালকা গলায় জিজ্ঞাসা করল।

ড্রাইভার টনি রস, আগে থেকেই পরিচিত। পাশের লোকটা অপরিচিত।

‘ইন্ডিয়ান,’ বলল রস। আমাদের আক্রমণ করতে আসছিল। ওদের ধোকা দিতে রাস্তা ছেড়ে একটা পাহাড়ের আড়ালে চলে যাই আমরা। উদ্দেশ্য ছিল, ওদের এড়িয়ে আবার রাস্তায় উঠব। অথচ উল্টো ধোঁকায় পড়ে গেছি এখন।

‘ঘাবড়াও মাত!’ অভয় দিল ইয়াসীন। সামনেই কোথাও আছে টহলদলের নাকি অংশ। ওল্ড ড্যাড রেঞ্জ এর কোল ঘেঁষে সোজা এগিয়ে যাও। পুবে বেরিয়ে যাবার জন্য হয়তো কোনও গিরিপথ পেয়ে যাবে।

কিন্তু কতদূর যেতে হবে আর ঘোড়াগুলোর বিশ্রাম দরকার। তা ছাড়া পুবে গেলে ভেগাস ট্রেইল হতে আরও সরে যাব তো?

এমনিতেই ভেগাস ট্রেইল থেকে অনেক সরে এসেছ তোমরা। ওই পথে ফিরে গেলে আবার ইন্ডিয়ানদের খপ্পরে পড়তে পারো। হয়তো এখনও ওরা আসছে ধাওয়া করে। সামনের কথা ভাবা উচিত তোমাদের। যেখানে পানি আর বিশ্রামের অবকাশ মিলবে।

এ পথটা চিনি না আমি। জানাল রস।

এটা কোনও পথ নয়। তবে এগিয়ে গেলে সম্ভবত মার্ল স্প্রিং-এর রুট পাওয়া যাবে। আমাকে অনুসরণ করো। সামনে কী আছে না আছে দেখছি আমি।

ঘোড়ায় চড়ে স্টেজটাকে ছাড়িয়ে দ্রুত সামনে এগোল ইয়াসীন। মাইদুয়েক গিয়েও পুবে বেরিয়ে যাবার জন্য কোনও গিরিপথ দেখা গেল না। একটানা শুধু পাহাড়ের সারি। দেয়ালের মত খাড়া উঠে গেছে দুই থেকে তিন হাজার ফুট উঁচুতে। কোনও আকস্মিক ভূ-আন্দোলনে তৈরি হতে পারে এমন পাহাড়।

কোনও ট্র্যাক নেই কোথাও। এক জায়গায় পাহাড়ী দেয়াল সামান্য ভাঁজ খেয়ে গেছে। তার ওপাশে আবার একটানা এগিয়েছে সামনে। ফলে দেয়ালের গায়ে তৈরি হয়েছে থার্ড ব্র্যাকেটের মত একটা জায়গা। সেখানে ঘোড়া থামাল ইয়াসীন। রাতে আগুন জ্বালানোর জন্য আদর্শ স্থান হবে ব্র্যাকেটটা।

তাকে অনুসরণ করে এসে পড়ল স্টেজ। অভিজ্ঞ ড্রাইভার রস। এমন নতুন পথেও চমৎকার গতিতে এসেছে।

হয়তো পিছনে ইন্ডিয়ানরাও আসছে দ্রুত। আসবেই। আজ রাতে না হোক, কাল ভোরে ওয়্যাগনের ট্র্যাক খুঁজে বের করবে তারা। তারপর একটানা ম্যারাথন, দৌড়ে পৌঁছে যাবে। হয়তো আরও সামনে সুবিধামত জায়গায় ওত পেতে থাকবে।

স্টেজ হতে সবার আগে নামল লী ফাউলার। এগিয়ে এল ইয়াসীনের কাছে। ‘তুমিই তা হলে? ভাল: পুরোনো হিসাবটা মিটিয়ে নেয়া যাবে,’ বলল সে।

‘খবরদার, এখানে কোনও গোলমাল করা চলবে না। পিছন থেকে হুঁশিয়ারি দিল রস। এমনিতেই যথেষ্ট বিপদের মধ্যে আছি আমরা।’

ব্র্যাকেটটার ভিতরের দিকে আগুন জ্বালাল ইয়াসীন। একটু গরম হয়ে নেয়া যাক। কফি আছে? জিজ্ঞাসা করল।

রসের পাশে বসা সেই রাইফেলধারী নিয়ে এল খাবারের ঝুড়ি। কফির আয়োজন করতে যাচ্ছিল। মার্থাখালা সরিয়ে দিলেন তাকে। একদিনে অনেক করেছ, বাছা। ওটা আমাকে করতে দাও।

বেলিন্দা এগিয়ে এল। আগুনে হাত সেঁকছে। হাতে একখানা বিস্কুট নিয়ে ইয়াসীনের পাশে এসে বসল রস। ঠিক কোথায় আছি আমরা-একটু বুঝিয়ে দেবে? কণ্ঠে অনুরোধ।

কাঠির আঁচড়ে ধুলোর মানচিত্র আঁকল ইয়াসীন। একটা রেখার উপর আঙুল রাখল। এটা ওল্ড ড্যাড রেঞ্জ। এর ওপাশে এখানে মার্ল স্প্রিং। কয়েকজন সৈন্যের একটা ফাড়ি। ওখানে পৌঁছা’তে পারলে পানি পাব আমরা। কিছু খাবারও পাওয়া যেতে পারে। এতক্ষণে টহলদের অন্যেরা হয়তো আমাকে বা তোমাদের খুঁজতে পৌঁছে গেছে সেখানে।

‘মার্ল স্প্রিং-এর কথা শুনেছি আমি।’ চিন্তিত ভাবে বলল রস। তবে যাইনি কখনও। তোমার কি মনে হয়, ইন্ডিয়ানদের এড়িয়ে পৌঁছা’তে পারব ওখানে?

জানি না। তবে চেষ্টা করতে হবে। তুমি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে কী করে?

ইন্ডিয়ানরা ঘিরে ফেলেছিল আমাকে।

ওরা তোমাদের সাথেও লড়েছে তা হলে?

লড়াই ঠিক নয়। টহলে বেরিয়ে ডজনখানেক বা তারও বেশি ইন্ডিয়ানের ট্রাক দেখতে পাই আমরা। স্টেজটা আক্রান্ত হতে পারে ভেবে নিজেদের পথ ছেড়ে তোমাদের রুটে এগোতে থাকি। এমন সময় আমাকে বাগে পেয়ে ঘিরে ফেলে ওরা। সংক্ষেপে ঘটনাটা জানাল ইয়াসীন।

‘ডজন খানেক বা তারও বেশি? সে তো অনেক ইন্ডিয়ান!’ রসের গলায় স্পষ্ট উদ্বেগ।

ভীষণ ক্লান্ত বোধ করছে ইয়াসীন। ঘোড়াটার কাছে গেল সে। জিন তুলে নিয়ে গ্যালেটা ঘাস ডলে দিল ওটার পিঠে। পাথুরে দেয়ালের ধাতব খুঁটা পুঁতে ঘোড়াটা বাঁধল। তৃষ্ণায় শুকিয়ে আছে গলা। ভোরের আগে পানি খাবে না-সিদ্ধান্ত নিল সে। কফির গন্ধ আসছে। আগুনের দিকে এগোল পায়ে পায়ে।

ধন্যবাদ, খালা। চমৎকার হয়েছে। দুই হাতে ধরা কফির মগে চুমুক দিয়ে বলল ইয়াসীন।

বেলিন্দা পাশে এসে বসল। কবে নাগাদ ছাড়পত্রটা আশা করছ, সীন?

‘যে কোনও দিন।’

তারপর?

কিছুক্ষণ ভাবল ও। বলতে পারব না ঠিক, আনমনে বলল। যুদ্ধ ছাড়া আর কিছুই জানি না আমি।

কথাটা ঠিক হলো না, সীন! অনেক কিছুই ভাল জানা আছে তোমার, বলল বেলিন্দা। ভাল নেতৃত্ব দিতে জানো। দীর্ঘদিন সেনাবাহিনীতে আছ তাই আইনও জানো ভাল। ভবিষ্যতে অনেক কিছু করতে পারো তুমি ইচ্ছে করলেই। তার হাতে বিলি কাটছে বেলিন্দার অন্তরঙ্গ আঙুল।

কথাগুলোয় কেমন যেন একটা প্রেরণা আছে। ভাল লাগল ইয়াসীনের। কল্পনায় একটা ভবিষ্যৎ গড়তে যাচ্ছিল। রসের সতর্ক বাণীতে ধসে পড়ল তা।সার্জেন্ট, কেউ আসছে এদিকে!

<

Super User