একসময় এক ছেলে ছিলো, যার বাবা একদিন তাকে বললো যে সে যথেষ্ট বড় হয়েছে এবং এখন ভেড়াদের যত্ন নিতে পারে। প্রতিদিন তাকে ঘাসের মাঠে ভেড়া নিয়ে যেতে হতো এবং ঘন ওলওয়ালা শক্তিশালী ভেড়া হয়ে যাওয়ার জন্যে তাদের চড়তে দেখতে হতো। ছেলেটি তবুও অসুখী ছিলো। সে দৌড়াতে এবং খেলতে চাইতো, বিরক্তিকর ভেড়া পাহারা দিতে চাইতো না। তাই, সে পরিবর্তে কিছু মজা করার সিদ্ধান্ত নিলো। সে চিৎকার করে বললো, 'নেকড়ে! নেকড়ে!' যতোক্ষণ না পুরো গ্রামের লোক নেকড়েকে তাড়ানোর জন্যে পাথর নিয়ে দৌড়ে এলো, যাতে সেটি একটিও ভেড়াটি না খেয়ে ফেলতে পারে । যখন তারা দেখল যে কোনো নেকড়ে নেই, ছেলেটি তাদের সময় নষ্ট করছে এবং এ সময় তাদের ভয় দেখিয়েছে দেখে তারা বিড়বিড় করতে করতে চলে গেলো। পরের দিন, ছেলেটি আবার চিৎকার করে বললো, 'নেকড়ে! নেকড়ে!' আর গ্রামবাসীরা আবার নেকড়ে তাড়াতে দৌড়ে এলো।

 

ছেলেটি তাদের ভয় দেখে যখন হেসে উঠলো, গ্রামবাসীরা চলে গেলো, কেউ কেউ বেশি রেগে গেলো। তৃতীয় দিন, ছেলেটি ছোট্ট একটা পাহাড়ে উঠলো, তখন হঠাৎ সে দেখলো যে একটা নেকড়ে তার ভেড়াটার উপর আক্রমণ করলো। সে যতো জোরে সম্ভব চিৎকার করলো 'নেকড়ে! নেকড়ে! নেকড়ে!' কিন্তু গ্রামবাসীরা ভাবলো যে সে আবার তাদের বোকা বানানোর চেষ্টা করছে তাই তারা ভেড়া উদ্ধার করতে এল না। সেই ছোট্ট ছেলেটি সেই দিন তিনটি ভেড়া হারাল, কারণ সে আগে বড্ড বেশী বার নেকড়ে বলে চিৎকার করেছিল।

 

গল্পের নীতিকথা : মনোযোগ পাওয়ার জন্য কাহিনী বানিও না, কারণ যখন এটির আসল প্রয়োজন হবে কেউ তোমাকে সাহায্য করবে না।

Super User