টেরর ক্যাসলের পুরো ইতিহাস লিখে এনেছে। রবিন।

সারাটা বিকেল খুঁটিয়ে সব পড়ল কিশোর। তারপর উঠল, ক্যাসলে যাবার জন্যে তৈরি হল।

সারাক্ষণই যাব না যাব না করল মুসা। কিন্তু শেষে দেখা গেল, সে-ও তৈরি হয়ে এসেছে। পুরানো এক সেট কাপড় পরেছে। সঙ্গে নিয়েছে তার পুরানো টেপরেকর্ডারটা।

পকেটে নোটবুক নিল রবিন। আর নিল চোখ-করে-শিশতোলা পেন্সিল। ফ্ল্যাশগানসহ ক্যামেরা কাঁধে বুলিয়ে নিল কিশোর।

খাওয়া-দাওয়া সেরে এসেছে তিনজনেই। মুসা আর রবিন বাড়িতে বলে এসেছে, রোলস-রয়েসে চড়ে হাওয়া খেতে যাচ্ছে। দুজনের বাবা-মা কেউই আপত্তি করেননি। কিশোরও বেড়াতে যাবার অনুমতি নিয়েছে চাচির কাছ থেকে।

আধার নামল। স্যালভিজ ইয়ার্ডের গেটের বাইরে এসে দাঁড়াল তিন গোয়েন্দা। আগেই টেলিফোন করে দেয়া হয়েছে রেন্ট-আ-রাইড কোম্পানিতে। রোলস রয়েসের বিশাল জ্বলন্ত দুই চোখ দেখা গেল মোড়ের মাথায়। দেখতে দেখতে কাছে এসে দাঁড়াল গাড়ি।

গাড়িতে উঠে বসল তিন কিশোর।

কোথায় যাবে জানতে চাইল হ্যানসন।

কোলের ওপর একটা ম্যাপ বিছিয়ে নিয়েছে কিশোর। একটা জায়গায় আঙুল রেখে হ্যানসনকে দেখিয়ে বলল, ব্ল্যাক ক্যানিয়ন। এই যে, এ পথে যেতে হবে।

ঠিক আছে, মিস্টার পাশা।

অন্ধকারে নিঃশব্দে ছুটে চলল রোলস রয়েস। ধীরে ধীরে ওপরে উঠে যাচ্ছে পাহাড়ী পথ ধরে। এক পাশে নিচে গভীর খাদ। খানিক পর পরই তীক্ষ্ণ মোড় নিয়েছে পথ। কিন্তু দক্ষ ড্রাইভার হ্যানসন। তার হাতে নিজেদের ভার ছেড়ে দিয়ে একেবারে নিশ্চিন্ত তিন কিশোর।

আজ রাতে তদন্ত করার ইচ্ছে নেই, পাশে বসা দুই সঙ্গীকে বলল কিশোর। শুধু দেখে আসব দুর্গটা। উদ্ভট কিছু চোখে পড়লে তার ছবি তোলার চেষ্টা করব। আর তুমি, মুসা, আজব যে-কোন শব্দ রেকর্ড করে নেবে টেপে।

আমাকে রেকর্ড করতে দিলে, থেমে গেল মুসা। আরেকটা তীক্ষ্ণ মোড় নিল গাড়ি। নিচের অন্ধকার খাদের দিকে চেয়ে শিউরে উঠল একবার। তারপর ফিরল আবার কিশোরের দিকে। হ্যাঁ, আমাকে  রেকর্ড করতে দিলে শুধু দাঁতে দাঁতে বাড়ি খাবার শব্দ উঠবে, আর কিছু না।

রবিন, মুসার কথায় কান না দিয়ে বলল কিশোর। তুমি গাড়িতে থাকবে। আমাদের ফেরার অপেক্ষা করবে।

এক্কেবারে আমার পছন্দসই কাজ, খুশি হয়ে বলল রবিন জানোলা দিয়ে বাইরে চেয়ে আছে। ইসস, দেখেছ কি অন্ধকারা

অন্ধকার গিরিপথে ঢুকে পড়েছে গাড়ি। দুধারে খাড়া উঠে গেছে পাহাড়। বার বার একেবেঁকে এগিয়ে গেছে। পথটা। কোথাও একবিন্দু আলো দেখা যাচ্ছে না। ঘুটিযুট অন্ধকার। একটা বাড়ি-ঘর চোখে পড়ছে না কোথাও।

ব্ল্যাক ক্যানিয়নের নাম যে-ই রাখুক, ঠিকই রেখেছে, চাপা। গলায় বলল মুসা।

সামনে বাধা দেখতে পাচ্ছি! বলে উঠল কিশোর।

ঠিকই সামনে পথ বন্ধ। পাথর আর মাটির স্তুপ। দুধারে পাহাড়ের গায়ে ঘন হয়ে জন্মে আছে মেলকোয়াইটের ঝোপ, কিন্তু ঘাসের নাম গন্ধও নেই। ফলে রোদ-বৃষ্টি বাতাসে আলগা হয়ে গেছে মাটি, পাথর। গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ে জমা হয়েছে পথের ওপর। স্তুপের ভেতর থেকে উঁকি দিয়ে আছে একটা ক্রসবারের মাথা। কোন এককালে লোক চলাচল ঠেকানোর জন্যে লাগানো হয়েছিল। এখন আর বারের দরকার নেই। তার চেয়ে ভাল ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে মাটি আর পাথর।

স্তুপের কাছে এসে গাড়ি থামিয়ে দিল হ্যানসন। আর যাবে। না, বলল সে। তবে আপনাদের তেমন অসুবিধে হবে বলেও মনে হয় না। ম্যাপে দেখছি, কয়েকশো গজ এগিয়ে একটা মোড় ঘুরলেই পৌঁছে যাবেন ক্যাসলে।

তা ঠিক, সায় দিল কিশোর। আমরা নেমেই যাচ্ছি। মুসা, এস।

নেমে এল দুজনে। গাড়ি ঘুরিয়ে রাখছে হ্যানসন।

এগিয়ে চলল দুই গোয়েন্দা।

খাইছে! শঙ্কিত গলায় বলে উঠল মুসা। দেখেই গা ছমছম করছে। দাঁড়িয়ে পড়েছে সে।

দাঁড়িয়ে পড়ল কিশোরও। অন্ধকারে সামনে তাকাল। গিরিপথের শেষ প্রান্তে একটা পাহাড়ের ঢালে দাঁড়িয়ে আছে অদ্ভুত এক কাঠামো। তারাখচিত আকাশের পটভূমিতে বেশ স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে ওটা। বিশাল মোটা পাথরের একটা থাম যেন উঠে গেছে আকাশের দিকে। থামের চুড়ায় একটা রিঙ পরিয়ে দেয়া হয়েছে যেন। টেরার ক্যাসলের টাওয়ার। শুধু টাওয়ারটাই, ক্যাসলের আর বিশেষ কিছুই নজরে পড়ছে না। এখান থেকে।

দিনের বেলা এলেই ভাল হত, বিড় বিড় করে বলল মুসা। মাথা নাড়ল কিশোর। না। দিনে কিছু ঘটে না ক্যাসলে। ভূতপ্ৰেতগুলো বেরোয় রাতের বেলা।

ভূতের তাড়া খেতে চাই না। আমি। এমনিতেই প্যান্ট নষ্ট করার সময় হয়ে এসেছে।

আমারও, স্বীকার করল। কিশোর। পেটের ভেতর কেমন সুড়সুড়ি লাগছে। কয়েক ডজন প্রজাপতি ঢুকে পড়েছে যেন!

তাহলে চল ফিরে যাই, সুযোগ পেয়ে বলল মুসা। হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছে যেন। এক রাতে অনেক দেখা হয়েছে। চল, হেডকোয়ার্টারে ফিরে গিয়ে নতুন কোন প্ল্যান ঠিক করি।

প্ল্যান তো ঠিকই আছে, বলল কিশোর। একটা শেষ না করেই আরেকটা কেন?

পা বাড়াল কিশোর। এগিয়ে চলল ক্যাসলের দিকে। মাঝে মাঝে টর্চ জ্বেলে পথ দেখে নিচ্ছে। প্রায় খাড়া হয়ে উঠে গেছে। পথটা। আলগা পাথরের ছড়াছড়ি। ছোট বড় মাঝারি, সব আকারের। হড়কে যাচ্ছে পা, কখনও হোচট খাচ্ছে। কিন্তু থামল না গোয়েন্দা প্ৰধান।

কয়েক মুহূর্ত অপেক্ষা করল মুসা। তারপর পিছু নিল কিশোরের। তার হাতেও টর্চ।

এমন অবস্থায় পড়বা জানলে কিশোরের কাছাকাছি হয়ে ক্ষুন্ন গলায় বলল মুসা। গোয়েন্দা হওয়ার কথা কল্পনাও করতাম না!

কেসটা মিটে গেলেই অন্য রকম মনে হবে, বলল কিশোর। কেউকেটা গোছের কিছু মনে হবে নিজেকে। প্রথম কেসেই কিরকম নাম হবে তিন গোয়েন্দার, ভেবে দেখেছ?

কিন্তু ভূতের সামনে যদি পড়ে যাই? কিংবা নীল অশরীরী তাড়া করে? দুয়েকটা দৈত্য-দানবের বাচ্চা এসে ঘাড় চেপে ধরলেও আশ্চর্য হব না।

ওরা আসুক, তা-ই আমি চাই, বলতে বলতে কাঁধে ঝোলানো ক্যামেরার গায়ে আলতো চাপড় দিল কিশোর। ব্যাটাদের ছবি তুলে নেব। বিখ্যাত হয়ে যাব। রাতারাতি।

বিখ্যাত হবার আগেই যদি ঘাড়টা মটকে দেয়?

শ শ শ! ঠোঁটে আঙুল রেখে হুশিয়ার করে দিল সঙ্গীকে কিশোর। আচমকা দাঁড়িয়ে পড়েছে। নিভিয়ে দিয়েছে টর্চ।

পাথরের মত স্থির হয়ে গেল মুসা। হঠাৎ আলো নিভে যাওয়ায় অন্ধকার যেন আরও বেশি করে চেপে ধরল। চারদিক থেকে।

কেউ, কিংবা কিছু একটা, এদিকেই নেমে আসছে। সোজা ছেলে দুটোর দিকে।

অদ্ভুত পায়ের আওয়াজ। চাপা, মৃদু। সেই সঙ্গে পায়ের আঘাতে ছোট ছোট পাথর গড়িয়ে পড়ার কেমন সুরেলা শব্দ।

ক্যামেরা হাতে তৈরি হয়ে আছে কিশোর। আরও এগিয়ে এল পায়ের শব্দ, আরও। হঠাৎ বিলিক দিয়ে উঠল। ফ্ল্যাশ-গানের তীব্র নীলচে-সাদা আলো। ক্ষণিকের জন্যে বড় বড় দুটো টকটকে লাল চোখ চোখে পড়ল। লাফিয়ে লাফিয়ে এগিয়ে আসছে চোখের মালিক। আরেক মুহূর্ত পরেই তাদের কাছে এসে গেল ওটা। পরীক্ষণেই আরেক লাফে বেরিয়ে গেল পাশ কেটে। পাথর গড়ানোর আওয়াজ তুলে লাফাতে লাফাতে চলে গেল জীবটা।

খরগোশ! বলল কিশোর। স্বরেই বোঝা গেল, হতাশ হয়েছে। জানোয়ারটাকে ভয় পাইয়ে দিয়েছি আমরা।

আমরা দিয়েছি! চেঁচিয়ে উঠল মুসা। আমাদেরকে দেয়নি ব্যাটা? আরেকটু হলেই তো ভিরমি খেয়ে পড়েছিলাম!

ও কিছু না। রাতের বেলা রহস্যজনক শব্দ আর নড়াচড়ার ফলে নার্ভাস সিস্টেমের ওপর বিশেষ প্রতিক্রিয়া। ঘটেই থাকে এমন, বন্ধুকে অভয় দিল কিশোর। চল, এগোই। মুসার হাত ধরে টান দিল। সে। আর চুপি চুপি এগিয়ে লাভ নেই। ফ্ল্যাশারের আলোয় নিশ্চয় চমকে গেছে ভূতগুলো, যদি থেকে থাকে।

তাহলে কি গান গাইতে গাইতে এগোব? মোটেই এগোনোর ইচ্ছে নেই মুসার। পেছনে পড়ে গেছে। এতে একটা উপকার হবে। ভূতের গোঙানি, দীর্ঘশ্বাস, কিছুই কানে ঢুকবে না।

কানে ঢুকুক, তা-ই চাই আমি, দৃঢ় শোনাল কিশোরের গলা। সব শুনতে চাই আমি। চেচনি, দীর্ঘশ্বাস, খসখসে, শেকলের ঝনঝনানি, ভূতেরা যতরকম শব্দ ব্যবহার করে, সব।

মুসার মনের ভাব ঠিক উল্টো। কিন্তু বলল না। আর কিছু। জানে লাভ নেই বলে। বন্ধুকে চেনে সে। একবার যখন সিন্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে, দুৰ্গে ঢুকবেই কিশোর পাশা। কোন বাধাই এখন ঠেকাতে পারবে না। তাকে। চুপচাপ সঙ্গীর পিছু পিছু এগিয়ে চলল মুসা।

যতই এগোচ্ছে ওরা, আকাশের পটভূমিতে ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে টাওয়ারটা। ক্যাসলের অন্যান্য অংশও চোখে পড়ছে এখন। আবছাভাবে নিজের অজান্তেই শিউরে উঠল একবার মুসা। কি কি ঘটায় ওখানে ভূতেরা, সব বলেছে। রবিন। ওই কথাগুলোই বারবার ঘুরে ফিরে মনে আসছে গোয়েন্দা সহকারীর। ভুলে থাকতে চাইছে, পারছে না।

দুর্গ ঘিরে থাকা উঁচু পাথরের দেয়ালের কাছে এসে দাঁড়াল ওরা। থামল এক মুহূর্ত। তারপর গেট দিয়ে ঢুকে পড়ল দুর্গ প্রাঙ্গনে।

এসে গেলাম, থেমে দাঁড়িয়েছে কিশোর।

বড় টাওয়ারটার পাশেই আরেকটা ছোট টাওয়ার। এটার মাথা চোখা। এমনি ছোট ছোট আরও কয়েকটা টাওয়ার রয়েছে এদিকওদিক। জানালায় জানালায় কাচের শার্সি, তারার আলোয় চিক চিক করছে স্নানভাবে। মুসার মনে হচ্ছে, ওগুলো জানোলা নয়, ভূতের চোখ। তার দিকে চেয়ে মুখ টিপে হাসছে।

কোনরকম জানান না দিয়ে হঠাৎ উড়ে এল ওটা। কালো একটা ছায়া, নিঃশব্দে। আঁতকে উঠে মাথা নুইয়ে ফেলল। মুসা। চেঁচিয়ে উঠল, ইয়াল্লা! বাদুড়া

বাদুড়েরা শুধু পোকামাকড় খায়, মনে করিয়ে দিল কিশোর। অত ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

এটা হয়ত রুচি বদলাতে চায়। সুযোগ দিয়ে লাভ কি? ড্রাকুলার প্ৰেতাত্মাও তো হতে পারে!

সঙ্গীর কথায় কান না দিয়ে আঙুল তুলে সামনে প্রাসাদের গায়ে বসানো বিরাট দরজা দেখাল কিশোর। চল, ঢুকে পড়ি।

আমার পা কথা শুনবে বলে মনে হয় না। কেবলই পেছনে চলতেই চাইছে ও দুটো।

আমার দুটোও, স্বীকার করল। কিশোর। জোর করে কথা শোনাতে হবে। এস।

পা বাড়াল কিশোর।

ভয়াবহ ওই ক্যাসলে বন্ধুকে একা ঢুকতে দেয়া উচিত হবে। না। পেছনে চলল। মুসাও।

মার্বেলের সিড়ি ভেঙে একটা চওড়া বারান্দায় উঠে এল দুজনে। দরজার নবের দিকে হাত বাড়াতেই কিশোরের কজি চেপে ধরল মুসা। থামা শুনতে পােচ্ছ বাজনা বাজাচ্ছে কেউ

কান পাতল দুজনেই। লক্ষ লক্ষ মাইল দূর থেকে আসছে যেন অদ্ভুত কিছু শব্দের আভাস। এক মুহূর্ত। তারপরই হারিয়ে গেল শব্দগুলো। এখন শোনা যাচ্ছে আধার রাতের পরিচিত সব আওয়াজ। পোকামাকড়ের কর্কশ ডাক। হুহু বাতাসে মাঝেমধ্যে পাহাড়ের পাথুরে গা বেয়ে গড়িয়ে পড়া ছোট্ট পাথরের চাপা টুকুর-টাকুর।

শুধুই কল্পনা, গলায় জোর নেই কিশোরের। এমনও হতে পারে, গিরিপথের ওপারে কোন বাড়িতে টেলিভিশন চলছে। বাতাসে। ভেসে এসেছে তার আওয়াজ। খালি বাতাসও হতে পারে। হাজারো রকম শবদ করতে পারে বাতাস।

তা পারে, বিড়বিড় করে বলল মুসা। তবে পাইপ অরগান হলেও অবাক হব না হয়ত বাজানোর নেশায় পেয়েছে এমুহূর্তে নীল ভূতকে!

তাহলে চোখে দেখে শিওর হতে হবে, বলল কিশোর। চল, ঢুকি।

হাত বাড়িয়ে দরজার নব চেপে ধরল। কিশোর। জোরে মোচড় দিয়ে ঠেলা দিতেই তীক্ষ্ণ একটা ক্যাঁ-এঁ-চ-চ আওয়াজ উঠল।

ভয়ানক জোরে বুকের খাঁচায় বাড়ি মারল একবার মুসার হৃৎপিণ্ড। পেছন ফিরে দৌড় মারতে যাচ্ছিল, থেমে গেল শেষ মুহূর্তে। খুলে গেছে বিশাল দরজা। দরজার কব্জার আওয়াজ হয়েছে, বুঝতে পারল।

কিশোরের অবস্থাও বিশেষ সুবিধের নয়। বুকের ভেতর দুরদুর করছে তারও। ফিরে ছুটি লাগাতে ইচ্ছে করছে। মনোেবল পুরো ভেঙে পড়ার আগেই বন্ধুর হাত চেপে ধরল। তাকে নিয়ে ঢুকে পড়ল ভেতরে।

গাঢ় অন্ধকার গিলে নিল যেন দুই কিশোরকে। টর্চ জ্বালল। ওরা। লম্বা এক হলঘরে এসে দাঁড়িয়েছে। হলের ওপাশে একটা দরজা। সেদিকে এগিয়ে চলল দুজনে।

ভ্যাপসা গন্ধ। বাতাস ভারি। চারদিকে নাচছে যেন ছায়া ছায়া অশরীরীর দল। দরজাটা পেরিয়ে এল ওরা। বিরাট আরেকটা হলে এসে দাঁড়াল। দোতলা সমান উঁচু ছাত।

দাঁড়িয়ে পড়ল। কিশোর। এসে গেছি। এটা মেইন হল। ঘন্টাখানেক থাকব। এখানে। তারপর যাব।

যা-বো চাপা, কাঁপা কাঁপা গলায় কিশোরের কথার প্রতিধ্বনি করে উঠল। কেউ। কানের কাছে ফিসফিস করে উঠল শব্দটা।

<

Super User