পূর্ব কথা

গরমের এক দিনে, ফ্রগ ক্রীক পেনসিলভেনিয়ার বনভূমিতে উদয় হয় রহস্যময় এক ট্রী হাউস।

তিন গোয়েন্দা দড়ির মই বেয়ে ট্রী হাউসে ওঠে। ওরা আবিষ্কার করে ওটা বই-পত্র দিয়ে ভর্তি।

ওরা শীঘি টের পায় ট্রী হাউসটা জাদুর। বইয়ে উল্লেখ করা বিভিন্ন জায়গায় ওদেরকে নিয়ে যেতে পারে। ওদেরকে শুধু একটা ছবিতে আঙুল রেখে সেখানে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করতে হয়।

ওরা এখন পর্যন্ত নানান জায়গায় ভ্রমণ করেছে। এক পর্যায়ে জানতে পারে ট্রী হাউসটার মালিক মরগ্যান লে ফে। রাজা আর্থারের সময়কার এক জাদুকরী লাইব্রেরিয়ান সে। টাইম আর স্পেসে অবাধ বিচরণ তার, বই সগ্রহের বাতিক।

এবার আবার অভিযানে বেরোচ্ছে কিশোর, মুসা, রবিন।

 

০১.

জলদি এসো! কিশোর আর মুসার উদ্দেশে বলল রবিন।

ফ্রগ ক্রীক উডসে দৌড়ে ঢুকে পড়ল ও।

কিশোর আর মুসা ওকে অনুসরণ করল। এখনও আছে! উত্তেজিত কণ্ঠে চেঁচিয়ে উঠল রবিন।

রবিনের নাগাল ধরল কিশোর আর মুসা। উঁচু এক ওক গাছের পাশে দাঁড়িয়ে রবিন।

মুখ তুলে চাইল কিশোর। বিকেলের রোদে ঝিকোচ্ছে জাদুর ট্রী হাউসটা।

আমরা আসছি, জেরি! চেঁচাল রবিন। দড়ির মইটা ধরে উঠতে শুরু করল।

ওকে অনুসরণ করল কিশোর আর মুসা। ওরা উঠছে তো উঠছেই। শেষমেশ ঢুকতে পারল ট্রী হাউসের ভিতরে।

জেরি? ডাকল মুসা।

কিশোর ব্যাকপ্যাক খুলল। দৃষ্টি বুলিয়ে নিল চারধারে।

এক গাদা বইয়ের উপর তেরছাভাবে রোদ পড়েছে।

কাঠের মেঝেতে চমকাচ্ছে এম অক্ষরটা। এম মানে মরগ্যান লে ফে।

জেরি মনে হয় এখানে নেই, বলল কিশোর। গেল কোথায় তাই ভাবছি, বলল মুসা।

কিঁচ!

হেসে উঠল রবিন। দেখো, দেখো!

ছোট, গোলাপি এক মোজা মেঝের উপর দিয়ে চলে বেড়াচ্ছে। গতকাল রবিন ওর মোজাটাকে জেরির বিছানা বানিয়ে দিয়েছিল।

খুদে পিণ্ডটাকে হাতে তুলে নিল রবিন। আমাজানেরগহীনে

কিঁচ।

মোজার ভিতর থেকে বাদামি-সাদা এক ইঁদুর উঁকি দিল। বড় বড় চোখ ঘুরিয়ে একে একে তিন বন্ধুকে দেখে নিল।

হেসে উঠল কিশোর।

কী রে, জেরি? বলল ও।

তুই কি আজকেও আমাদের হেল্প করবি? রবিনের প্রশ্ন।

এর আগে বিভিন্ন অভিযানে জেরি ওদেরকে সাহায্য করেছে।

মরগ্যানের জন্যে আমাদের আরও কটা জিনিস খুঁজে পেতে হবে, বলল মুসা।

কিশোর নীচের ঠোটে চিমটি কাটল। কোথা থেকে শুরু করব আগে সে সূত্র দরকার, বলল।

বলল তো কী? বলল রবিন।

কী?

আমাদেরকে বেশি দূর খুঁজতে যেতে হবে না, ট্রী হাউসের এক কোনার দিকে ইশারা করল রবিন।

ছায়ার আড়ালে খোলা এক বই।

<

Super User