আটচল্লিশ ঘণ্টারও কিছু কম সময়ের মধ্যে গ্রীসের রাজধানীতে পৌঁছুল ওরা। রানা এজেন্সির রিয়ো শাখার সাহায্যে নকল পাসপোর্ট, জাল কাগজ-পত্র, ছদ্মবেশ ইত্যাদি সংগ্রহ করতে কোন সমস্যাই হয়নি ওদের। ডাফু সালজুনাসকে আরব আমিরাতের একজন শেখ, আর তারানাকে তাঁর সর্বকনিষ্ঠ বিবি হিসেবে চালিয়ে দেয়া হলো।

ফাইভ স্টার ওডিয়ন ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে তিন বেডের একটা ফ্যামিলি স্যুইটে উঠল ওরা।

এথেন্সের রাজনৈতিক পরিস্থিতি দ্রুত বদলে যাচ্ছে, খবরের কাগজগুলোও প্রতিদিন গরম গরম খবর ছাপছে। সাংবাদিক জুলহাস কায়সার খুন হয়েছে, এ-খবর ইতিমধ্যে পৌঁছে গেছে গ্রীসে। শুধু মিডিয়া জগতে নয়, গোটা দেশ জুড়ে ব্যাপারটা নিয়ে হৈ-চৈ শুরু হয়েছে। পত্রিকাগুলো বলছে, এর আগেও কায়সারকে খুন করার চেষ্টা হয়েছিল। তবে একটা পত্রিকা কায়সারের মৃত্যুটাকে দুর্ঘটনা বলে চালাবার জন্যে উঠে পড়ে লেগেছে। এই পত্রিকার সম্পাদকীয়তে নিয়মিত বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করা হচ্ছে-বেশ কয়েকজন জেনারেল ও কর্নেলের নাম উলে−খ করে মন্তব্য করা হচ্ছে এদের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ এনে সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার।

‘বোঝাই যাচ্ছে, আমার টাকা দিয়ে এই পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশককে কিনে নিয়েছে মারকাস,’ মন্তব্য করলেন সালজুনাস। সময়টা বিকেল, রানার কামরায় বসে আছেন তিনি। রানা তাঁর মুখোমুখি একটা সোফায় বসেছে, ওই সোফারই হাতলটা দখল করেছে তারানা। ব্রাজিল থেকে আজই ওরা গ্রীসে পৌঁছেছে। ‘কি স্পর্ধা! এখানে আমার নামে যে বিবৃতিটা ছাপা হয়েছে তাতে আমি দেশের জনগণকে ডাক দিয়ে বলছি, সরকারের বিরুদ্ধে সবাইকে রাস্তায় নামতে হবে, কারণ তারা দেশটাকে বিক্রি করে দেয়ার ষড়যন্ত্র পাকাচ্ছে।’

তারানা বলল, ‘মারকাস যদি জানতে পারে আপনি এখন এথেন্সে…’

‘পারাকাটুর সঙ্গে যোগাযোগ করলেই খবর পেয়ে যাবে,’ বললেন সালজুনাস।

‘তা পাবে,’ বলল রানা, ‘তবে সেটা কয়েকদিনের মধ্যে না-ও ঘটতে পারে। ওখানে সবাই মারা যাওয়ায় ঠিক কি ঘটেছে জানার জন্যে কাউকে পাঠাতে হবে। কাজেই সময় লাগবে।’

‘আমাদের প্ল্যানটা কি, রানা?’ জানতে চাইল তারানা।

‘পারাকাটুর প্ল্যানটেশনে ঢোকা আর এথেন্সে কোলোসসের পেন্টহাউসে ঢোকা এক কথা নয়। এখানের সিকিউরিটি অত্যন্ত কড়া হবে।’

‘আমি পেন্টহাউসে ফোন করে জানার চেষ্টা করতে পারি,’ বললেন সালজুনাস, ‘বাইরের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগের জন্যে কি নিয়ম ফলো করছে ওরা। তবে আমার কণ্ঠস্বর শুনলেই চিনে ফেলবে।’

ট্রে থেকে একটা ন্যাপকিন তুলে তাঁর দিকে বাড়িয়ে ধরল রানা। ‘মুখের সামনে এটা রেখে কথা বলুন। আপনি নিজের সঙ্গে কথা বলতে চাইবেন। ওরা এড়িয়ে গেলে আপনার সেক্রেটারী গিলি ক্ল্যাসিকসকে ডেকে দিতে বলবেন।’

‘নিজের একটা পরিচয় তো দিতে হবে…’

‘বলবেন, সালোনিকা থেকে বলছেন। ওখানকার একটা পত্রিকার সম্পাদক। কি চান? ডাফু সালজুনাসের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ সম্পর্কে একটা বিবৃতি।’

রানার কথা শুনে হাসলেন সালজুনাস। মুখে ন্যাপকিন চেপে ধরে পেন্টহাউসে উপস্থিত আকার্ডিয়া মারকাসের কোন লোকের সঙ্গে কথা বললেন। এক মিনিটের মাথায় অপরপ্রান্তে হাজির হলো নকল গিলি ক্ল্যাসিকস। এই নকল গিলি আসলে একজন এথিনিয়ান অভিনেতা, নাম ইউসুফিস জিয়ানি। নিজের সম্পর্কে প্রশ্ন করে বানানো উত্তরের জন্যে অপেক্ষা করলেন সালজুনাস, তারপর জানতে চাইলেন মিস্টার সালজুনাসের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করে একটা সাক্ষাৎকার নেয়া সম্ভব কিনা। প্রস্তাবটা প্রত্যাখ্যান করা হলো। আলাপেরও ইতি ঘটল এখানে। রিসিভার নামিয়ে রেখে রানা ও তারানার দিকে তাকালেন সালজুনাস। ‘ভৌতিক একটা অভিজ্ঞতা হলো। এই গিলি আমার সেক্রেটারী আসল গিলির কণ্ঠস্বর হুবহু নকল করতে পারে।’

‘ফোনটা প্রথমে কে ধরল?’ জিজ্ঞেস করল রানা।

‘একজন গ্রীক। বয়সে তরুণ মনে হলো। নিশ্চয়ই মারকাসের পোষা কোন গুণ্ডা।’

রানা বলল, ‘মারকাস কাঁচা কাজ করার লোক নয়। আমরা ধরে নিতে পারি পুলিস অফিসারদেরও হাত করেছে সে। তার প্রাইভেট আর্মি ট্রেনিং নিচ্ছে দু’জায়গায়, হয়তো সেই আর্মির লোকেরাই পেন্টহাউস পাহারা দিচ্ছে।’

‘তাহলে মারকাসকে ধরার উপায়?’

‘জেনারেল অ্যালেক্সিস ভালটোনা আপনার ভগড়বীপতি, তাই না?’ জিজ্ঞেস করল রানা।

‘হ্যাঁ।’ মাথা ঝাঁকালেন সালজুনাস। ‘তবে এটা আমাকে স্বীকার করতেই হবে যে সেনাবাহিনীতে উনড়বতি করতে হলে যেসব অতিরিক্ত যোগ্যতা লাগে অ্যালেক্সিসের মধ্যে তা যথেষ্ট পরিমাণে নেই। আমি আমার ভাগ্য ফেরার আগেই তিনি আমাদের ছোট বোনকে বিয়ে করেন। সুন্দর, সুখী দাম্পত্য জীবন ওদের। কিন্তু আমি প্রভাব না খাটালে অ্যালেক্সিস জেনারেল হতে পারতেন না, আরও অনেক নিচে পড়ে থাকতেন। কাজেই তিনি আমার প্রতি কৃতজ্ঞ। এখন আমি তাঁকে যদি কিছু করতে বলি, তিনি বিনা দ্বিধায় তা করবেন। ঘটেছেও ঠিক তাই, মিস্টার রানা। অ্যালেক্সিস যে আমার কাছে ঋণী, মারকাস এটা যেভাবেই হোক জেনেছে। তারপর আমার নকল করা কণ্ঠস্বর আর নকল করা হাতের লেখা ব্যবহার করে, এবং সশরীরে আমার সেক্রেটারী গিলির ডুপি−কেটকে পাঠিয়ে অ্যালেক্সিসকে বোঝানো হয়েছে যে আমি সরকার উৎখাতের একটা প্ল্যান করেছি, সেই প্ল্যান সফল করতে হলে তাঁর সাহায্য আমার একান্ত দরকার।’

‘আপনার কোনও ধারণা আছে, জেনারেলকে ঠিক কি কাজে ব্যবহার করছে মারকাস?’

‘মারকাস আমাকে আভাসে জানিয়েছিল, অ্যালেক্সিসকে দিয়ে দুটো কাজ করানো হবে। এক, বিশ্বস্ত লোক দিয়ে গোপন একটা বাহিনীকে ট্রেনিং দেয়ার ব্যবস্থা করবেন। দুই, তিনি তাঁর সামরিক সহকর্মী ও বন্ধুদের সদলবলে এই ষড়যন্ত্রে অংশ গ্রহণের জন্য প্ররোচিত করবেন।’

‘হুম। জেনারেল ভালটোনা কি এথেন্সে থাকেন?’

মাথা ঝাঁকালেন সালজুনাস। ‘শহরের বাইরে থাকেন, উত্তর দিকটায়।’

‘আপনি তাঁর কাছে নিয়ে যাবেন আমাদের?’

‘হ্যাঁ, অবশ্যই। কখন যেতে চান?’

‘এখনই।’

মধ্যপ্রাচ্য থেকে প্রচুর শেখ আর আমীর গ্রীসে ছুটি কাটাতে আসে, সাদা ও ঢোলা আলখেল্লা পরে থাকায় সালজুনাসকে তাদের একজনই মনে হচ্ছে। তারানা বোরকা পরা ছোট বউ। আর গ্রীক ভাষার ওপর সমপ্রতি খানিকটা দখল আনতে পারার সুবাদে রানা ওদের গাইড। রেন্ট-আ-কার থেকে একটা মার্সিডিজ নিয়ে সন্ধ্যার খানিক আগে রওনা হলো ওরা।

এথেন্স শহরের ঠিক বাইরে সুন্দর একটা এলাকায় জেনারেল ভালটোনার বিশাল বাড়ি। আঁকাবাঁকা ড্রাইভওয়ে দালানের সামনে, পার্কিং এরিয়ায় এসে শেষ হয়েছে।

একজন সৈনিক ওদেরকে পথ দেখিয়ে নিয়ে এসে সুসজ্জিত সিটিংরূমে বসিয়ে রেখে চলে গেল। একটু পরই খবর পেয়ে অন্দরমহল থেকে বেরিয়ে এলেন জেনারেল ভালটোনা। আলখেল্লা পরা সালজুনাসকে দেখে প্রথমে তিনি চিনতেই পারলেন না। সালজুনাস সোফা ছেড়ে দাঁড়ালেন, মাথা ও মুখের দু’পাশ ঢেকে রাখা সাদা চাদর সরিয়ে ভগড়বীপতিকে জিজ্ঞেস করলেন। ‘এবার চিনতে পারছ, অ্যালেক্সিস?’

প্রায় ছুটে এসে সালজুনাসকে জড়িয়ে ধরলেন জেনারেল ভালটোনা। ‘ভাই, আপনি! এই বেশে! কি ব্যাপার, আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।’

ভগড়বীপতির আলিঙ্গন থেকে নিজেকে মুক্ত করে সালজুনাস জানতে চাইলেন, ‘চেরি কোথায়?’

‘চেরি তার বান্ধবীর বাড়ি বেড়াতে গেছে, কাল ফিরবে…’

‘ভালই হয়েছে। তুমি আমাদেরকে তোমার স্টাডিতে নিয়ে চলো,’ বললেন সালজুনাস। ‘আমরা অত্যন্ত জরুরী কয়েকটা বিষয়ে আলাপ করব।’

‘হ্যাঁ, ঠিক আছে আসুন।’ পথ দেখিয়ে ওদেরকে নিজের স্টাডিতে নিয়ে এলেন জেনারেল ভালটোনা।

সবাই একটা করে চেয়ার দখল করে বসার পর সালজুনাস প্রথমে জেনারেল ভালটোনার সঙ্গে রানা ও তারানার পরিচয় করিয়ে দিলেন, তারপর বললেন, ‘অ্যালেক্সিস, অত্যন্ত গুরুতর একটা বিষয় তোমার কাছে আমার ব্যাখ্যা করতে হবে। আমি চাই তুমি খুব মন দিয়ে শুনবে সব।’

একটু সতর্ক, একটু বিমূঢ়; জেনারেল ছোট্ট করে মাথা ঝাঁকালেন। সালজুনাস তাঁকে পুরো কাহিনীটা শোনালেন। শোনার সময় মাঝে-মধ্যে জেনারেলের চেহারায় অবিশ্বাসের ভাব ফুটল, তবে কোন মন্তব্য করলেন না। সালজুনাস থামতে বললেন, ‘এ তো দেখছি গল্পকেও হার মানায়!’

‘কিন্তু বাস্তব সত্য।’

‘আপনি এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত নন, এটা জানার পর কি রকম স্বস্তিবোধ করছি সে আমি বলে বোঝাতে পারব না,’ বললেন জেনারেল ভালটোনা। ‘এখন বলুন, শয়তান মারকাসকে শাস্তি দেয়ার জন্যে আমাকে কি করতে হবে।’

‘সেটা মিস্টার রানাই ভাল বলতে পারবেন,’ বললেন সালজুনাস।

‘আমাদের দরকার ভেতরের তথ্য, জেনারেল ভালটোনা,’

বলল রানা। ‘মারকাস ঠিক কিভাবে কি করতে যাচ্ছে তা একমাত্র আপনিই আমাদেরকে জানাতে পারেন।’

‘মাত্র একটা জাতীয় দৈনিকের মাধ্যমে নোংরা প্রচারণা আর মিথ্যে কলংক ছড়ানো হচ্ছে, আর সে-সব বেশিরভাগই জেনারেল ডোনাল্ডিস সেরাফ-এর বিরুদ্ধে,’ বললেন ভালটোনা। ‘এর কারণ, জেনারেল সেরাফ গ্রীসে আর কোন সামরিক অভ্যুত্থান চান না। শুধু তাই নয়, তিনি নির্বাচিত সরকারের পাশে থাকবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। সরকার তাঁকে সেনাপ্রধানের পদে বসাতে চাইছে, কিন্তু তাতেও বাধা দিচ্ছে এই পত্রিকাটি। জেনারেল সেরাফ নাকি একজন ফ্যাসিস্ট ও দুর্নীতিবাজ। কিন্তু আমরা জানি এসব অভিযোগ একদমই মিথ্যে। তাঁর ব্যক্তিগত চরিত্র সম্পর্কেও নোংরা ও মিথ্যে প্রচারণা ছাপা হচ্ছে। অথচ তাঁর চেষ্টা ও সুপারিশেই সমপ্রতি বেশ কিছু রাজনৈতিক ও সামাজিক সংস্কারে হাত দিয়েছে সরকার।’

‘তাঁকে নিয়ে মারকাসের প্ল্যানটা কি?’

‘জেনারেল ডোনাল্ডিস সেরাফের সঙ্গী ও সমর্থক হলেন আরও দু’জন জেনারেল-ভিক্টর পাপাভিক্স ও গেইব্রিয়াল সেনটো। এঁদের অপরাধ, এঁরা নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে যাবেন না। আপনার সেক্রেটারী গিলি, মানে নকল গিলি, ক’দিন আগে আমার কাছে এসে জানিয়ে গেছে ওঁদের তিনজনকে খুন করা হবে।’

তারানার সঙ্গে দৃষ্টি বিনিময় করল রানা। মারকাস এবার তার কাজে হাত দেবে।

‘কিভাবে কি ঘটতে যাচ্ছে আপনি জানেন?’ জেনারেল ভালটোনাকে জিজ্ঞেস করল রানা।

‘ভাসা-ভাসা জানি, সামান্যই। প্রথমে বলা হয়েছিল, এই তিনজনের সঙ্গে আপনার একটা মীটিঙের আয়োজন করতে হবে আমাকে, সালজুনাস ভাই। কিন্তু তারপর গিলি, নকল গিলি, আমাকে ফোন করে জানাল, মীটিংটার আয়োজন তারাই করতে যাচ্ছে-পেন্টহাউসে। আমার যতদূর ধারণা, এই মীটিঙেই তিন জেনারেলকে খুন করা হবে।’

‘মীটিঙের সময়টা জানতে হবে,’ বলল রানা। ‘আপনি এক কাজ করুন, জেনারেল। জেনারেল ডোনাল্ডিস সেরাফকে ফোন করে জিজ্ঞেস করুন সালজুনাসের লোকজন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কিনা। খুন হবার সম্ভাবনার কথাটা এখুনি তাঁকে জানাবার দরকার নেই।’

‘ঠিক আছে,’ বললেন ভালটোনা। ‘আশা করি জেনারেল সেরাফ আমার সঙ্গে কথা বলতে রাজি হবেন।’

কিন্তু ফোন করে জেনারেল সেরাফকে তাঁর বাড়ি বা অফিসে কোথাও পাওয়া গেল না। এইডরা কেউ বলল না বা বলতে পারল না কোথায় কি কাজে গেছেন তিনি। ঠিক হলো, জেনারেল ভালটোনা রাতে আরেকবার ফোন করবেন তাঁকে।

সালজুনাসকেও একটা কাজ দিল রানা। ‘মারকাসের প্রাইভেট বাহিনী যে দু’জায়গায় ট্রেনিং নিচ্ছে সেখানকার লীডারদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তাঁদেরকে বলে রাখুন, সরাসরি আপনার মুখ থেকে নির্দেশ না পেলে তারা যেন তাদের বাহিনীকে মুভ না করায়।’

‘কেন, কি লাভ তাতে?’

‘মারকাস সরকার উৎখাত করার সময় এথেন্সের সাধারণ মানুষ খেপে উঠতে পারে,’ বলল রানা। ‘তখন ওই প্রাইভেট আর্মিকে দিয়ে তাদের আন্দোলন থামাবার চেষ্টা করবে সে।’

‘ও, ইয়েস!’ সালজুনাসের যেন চোখ খুলে গেল।

‘একটা কিছু অজুহাত না দেখিয়ে জেনারেল তিনজনকে মারকাস খুন করতে যাবে না,’ বলল রানা। ‘কিংবা হয়তো গোটা ব্যাপারটাকে অ্যাক্সিডেন্ট হিসেবে সাজানো হবে। আপনার কি মনে হয়?’

ভুরু কুঁচকে কয়েক সেকেন্ড চিন্তা করলেন জেনারেল ভালটোনা। ‘একগাদা নতুন অভিযোগ অবশ্যই প্রচার করা হবে। অ্যাক্সিডেন্ট? মনে হয় না। সম্ভবত বলা হবে, পরস্পরের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব ছিল, তারই করুণ পরিণতিতে তিনজনই খুন হয়ে গেছে।’

Super User